রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

নওদাপাড়া বাইপাস রোড, সপুরা-৬২০৩, রাজশাহী

টেলিফোনঃ 02588803044

একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ।

ইলেক্ট্রোমেডিক্যাল

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি  দেশের প্রথম ও পথ প্রদর্শক হিসেবে আমরা গর্বিত। ২০০৫ সালে আমাদের প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে এই বিভাগের যাত্রা শুরু।  ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি  পরীক্ষার ফলাফলসহ সার্বিক কার্যক্রমের বিচারে ইতোমধ্যে এই ইনস্টিটিউট বেশ সুনাম অর্জন করেছে। এই টেকনোলজি ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজিতে রয়েছে আধুনিক মানের তিনটি ল্যাব ( ডেন্টাল ল্যাব, এক্সরে ল্যাব, ওটি ও কম্পিউটার ল্যাব ) সহ Multimedia Class room এ সকল ছাত্রীদের বাস্তাবে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়।        

উচ্চ শিক্ষার সুযোগ:

এই টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাশকৃত ছাত্রীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং IEB এর অধীনে সহযোগী সদস্য (AMIE) সংশ্লিষ্ট শাখায় উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ পেয়ে থাকে। এছাড়া আমাদের অনেক শিক্ষার্থী সরকারি ও বেসরকারী ভাবে বৃত্তি পেয়ে দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত আছে।

সাফল্য ও অর্জন:

  • সরকারী ৪৯ টি পলিটেকনিকের মধ্যে জাতী পর্যায়ে ২০১৫ সালে ২য় সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন।
  • এ টেকনোলজির মেয়েরা সারা বছর প্রতিষ্ঠানের সকলের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে।
  • প্রতিবছর ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি সকল টেকনোলজির ভর্তি কার্যক্রমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতে সহায়তা করে থাকে।

ভর্তির যোগ্যতা ও ভর্তি প্রক্রিয়া:

ভর্তির জন্য এস.এস.সি / সমমান পরীক্ষার পাশকৃত সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে কমপক্ষে জি.পি.এ ৩.০০ সহ ন্যুনতম ৩.০০ জি.পি.এ প্রাপ্ত ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। অথবা ও লেভেল যেকোন একটি বিষয়ে সি গ্রেড এবং গণিতসহ অন্য যেকোন দুটি বিষয়ে নুন্যতম ডি গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ যেকোন বয়সের শিক্ষার্থীর ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। জিপিও পদ্ধিতি চালুর পূর্বে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় নুন্যতম ২য় বিভাগপ্রাপ্ত উত্তীর্ণ যে কোন বয়সের শিক্ষার্থী  আবেদন করতে পারবে। নির্ধারিত আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণ এবং বিস্তারিত ভর্তির তথ্য www.techedu.gov.bd অথবা  www.bteb.gov.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

EMT এর Job Sector:

ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজির শিক্ষার্থী দেশে বিদেশে সরকারী-বেসরকারী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে  কর্মরত আছে।

  • দেশের সরকারি, স্বনামধন্য বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে।
  • স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন নিয়োগে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী কর্মরত রয়েছে।
  • সরকারি পলিটেকনিক এ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
  • বেসরকারি মেডিকেল টেকনোলজিতেও শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
  • এছাড়াও নিজ উদ্যোগে উদ্যোগতা হিসাবে কাজ করছেন।

 

উদ্দেশ্য:

মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা মূলক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাকুরীর বাজারে ডিপ্লোমা গ্রাজুয়েটদের বলিষ্ট ভূমিকা রাখা।

অভিলক্ষ্য:

 দক্ষ চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ ও প্রকৌশলী হিসেবে তৈরি করা।

 দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা।

 ত্রুটিমুক্ত রোগ নির্ণয় এবং রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখা।

 অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও বেকারত্ব দূরীকরণ।

 কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা।

 মানব সম্পদ উন্নয়ন।

 কারিগরি শিক্ষা নিয়ে নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে সমাজ তথা দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখা।

 

বৃত্তিঃ

  • শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিষ্টারে ফলাফলের ভিত্তিতে ১৬৫০/- টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
  • সরকার হতে সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিষ্টারে বইকেনা ও অন্যান্য সুবিধা বাবদ ৪০০০/- টাকা সহায়তা প্রদান করে থাকে।
  • এছাড়াও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের দরিদ্র তাহবিল হতে সহায়তা প্রদান করা হয়।

 

আসন সংখ্যা   :

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে নতুন আরও আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়। বর্তমানে আমাদের দুইটি শিফট চালু আছে। এখন প্রতি শিফটে ৫০ জন করে ছাত্রী ভর্তি করা হয়। প্রথম শিফটে ক্লাস সকাল ৮:০০ তে শুরূ হয়ে দুপুর ১:১৫ তে শেষ হয়। দ্বিতীয় শিফট ১:৩০ এ শুরূ হয়ে ৬:৪৫ এ শেষ হয়। 

চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স:

টেকনোলজি১ম  শিফট২য় শিফটআসন সংখ্যা  (উভয়  শিফট )
ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি৫০৫০১০০ জন

ফলাফল :

ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি প্রতি বছর অনেক ভালো ফলাফল করে থাকে। এই টেকনোলজি অন্য যে কোন টেকনোলজির থেকে পরীক্ষার ফলাফলসহ সার্বিক দক্ষতায় সুনাম অর্জন করেছে। এই টেকনোলজির মেয়েদের প্রতি বছর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এ মেধা তালিকা  অর্জন ইর্ষান্বিত। বিগত  সালের ফাইনালে  ফলাফল

সালপাশের হারসর্বোচ্চ সি. জি.পি.
২০১৯৮৯.০৬%৩.৮৬
২০১৮৯৫.৪৫%৩.৮৪
২০১৭৯৪.৩৬%৩.৭৬
২০১৬৯২.৬৪%৩.৭৯
২০১৫৯৫.৩১%৩.৭৬
২০১৪১০০%৩.৬৩